এই কলা শব্দটা আমার কাছে পুরাই বিভ্রান্তিকর। নারীদের কলা বলতে যে ছলাকলা সেটা ভালই বুঝি। সেই ছলাকলা দেখে গলা বাড়ালেই যে ষোলকলা পূর্ণ হয় সেটাও জানা। কিন্তু এই শিল্পকলা, নৃত্যকলা, চিত্রকলা সেগুলো আবার কি! শিল্প, নৃত্য, চিত্র বললে কিছুটা বুঝা যায়। কিন্তু এদের সবার সাথে আবার একটা করে কলা ফ্রি কেন! বুঝে পাই না ১৫০/- ডজনের কলা এতো ফ্রি বিলিয়ে বেড়ায় কি করে।
কালচার্ড হতে কোন এক কালচারাল অনুষ্ঠান দেখতে গেছি। এক নারী মঞ্চ কাঁপিয়ে ঝড়ের মতো তাণ্ডব চালালেন। ভয়ে ভয়ে পাশে থাকা বন্ধুকে জিজ্ঞাসা করলাম হচ্ছেটা কী? বন্ধু বিরক্ত হয়ে বলল -চুপ থাক! এটা তাণ্ডব নৃত্য। আনকালচার্ড জানি কোথাকার।
যাক তাও বুঝা গেল নৃত্যের সাথে তাণ্ডবের একটা সম্পর্ক আছে। কিন্তু চিত্র বা চিত্রকলা সেটা দেখি পুরাটাই রহস্যময়। কোন এক আর্ট গ্যালারীতে গিয়ে ছবি দেখতে দেখতে কোন এক অপরূপা নারীর পোট্রেট দেখে থমকে গিয়ে -আহা কি সুন্দর, জম্পেশ পেন্টিং বলে উঠতেই পাশ থেকে কারও মন্তব্য "আলকালচার্ড"। কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানলাম, চিত্রকলায় এ রকম চিত্রের নাকি কোন মূল্যই নেই। অর্থাৎ ওটা চিত্রই থেকে গেছে কলা হয়ে উঠতে পারেনি। আবার হয়তো কোথাও গিয়ে শ্রীহীন, ভ্রুহীন নারীর পোট্রেট দেখে ছ্যা ছ্যা করতেই সেই একই কথা " আনকালচার্ড"। কেন বাবা আবার আনকালচার্ড হলাম কেন! কারণ ঐ শ্রীহীন, নারীই নাকি বিশ্ব কাঁপানো মোনালিসা। পুরোপুরি পাকা কলা। কলার মধ্যে এত ভয়ঙ্কর অবিচার দেখে কলা রহস্য বোঝার চেষ্টাই বাদ দিলাম।
সবশেষে অনেক আগে শোনা চিত্রকলা বিষয়ক জোকস দিয়ে শেষ করি-
এক আর্ট গ্যালারীতে ধুসর এক ক্যানভাসের নিচে বসে আছেন এক চিত্রশিল্পী। ক্যানভাসে লেখা "গরু ঘাস খাচ্ছিল"। অনেক দর্শকই বাহ বাহ চমৎকার কলা বলে চলে গেলেন।
আমার মতো কোন এক আনকালচার্ড এসে চিত্রশিল্পীকে প্রশ্ন করলো- চিত্রে লেখা "গরু ঘাস খাচ্ছিল"। তা মশাই ঘাস কৈ?
চিত্রশিল্পী- গরু খেয়ে ফেলেছে।
আলকালচার্ড- তা না হয় বুঝলাম, তাহলে গরু কৈ?
চিত্রশিল্পী- ঘাস খেয়ে চলে গেছে। এর জন্যই বলা হয়েছে "খাচ্ছিল"। গরুও নাই, ঘাসও নাই। আনকালচার্ড!!!
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:৩৮